ভিক্ষুক | Bhikkhuk

পতাকা আঁকড়ে যোদ্ধারা ঘরে ফেরে ফুলের তোড়া হাতে

বলতে হার-জিতের কথা নিমজ্জিত মনে- নিজেদের সাথে

গতকাল লালনের নদে জন্মানো মাছ আমি-

আজ পালনের পাঁড়ে মানুষ হয়ে থামি,

তারপর বেয়াদব কিছু প্রশ্নের জন্ম হয় –

যেমন ধরুন-

একটি ফুলকে বাঁচাতে যুদ্ধ করাটা কতটুকু বীরত্ব, আর কতটা বোকামি?

দৃষ্টি যতদূর যায় আমাদের-

সীমানা ততদূর না ভেবে-

ভাবি অসীমেও আছে চোখ- আছে স্রষ্টা, সর্বদ্রষ্টা তবে

কাঁদা-বালিই তো লাগে পায়ে যখন পৃথিবীতে হাটি- পৃথিবীর মাটি হয়ে

ঘাসের শরীরে সবুজ কাঁদে- তৃপ্ততার লুকোচুরি

একটানা এত নীল সরবোর- তবু নীড় খুঁজে মরি

কাঁচা চোখে সন্ধ্যা দিয়েছি লাল আকাশের নাম

পরে মনস্থ রুটিনের অভ্যাস- ঘরে ফেরা জরুরী

দূরবীনের ছাপ চোখের চারপাশে-

আছে খাঁদ- ফসকে যাওয়া দৃষ্টির

নগণ্য জীবানূর মত সৃষ্টি নিজেকে ভাবছে স্রষ্টা

আর স্রষ্টা সে তো স্পষ্টত ফল সৃষ্টির

বিষাদ তবু পারলো না আমাদের মানুষ বানিয়ে সাড়তে

নিঃস্বতার মত রত্ন পেয়েও,

মৃত্যুর মত আশীর্বাদ পেয়েও

সুখের দুইটা ফোঁটা পেতে- হাত বের করে আছি

আপন ঘরে, নিজেরই স্বর্গে- ভিক্ষার থালা হাতে।